পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ জানুয়ারি: রাতের অন্ধকারে এলাকার ওপর দিয়ে যাওয়া এক্সপ্রেস ট্রেন লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি পাথর ছুড়ে আনন্দ করেছিল। ঘটনার পর স্টেশনে পৌঁছেই যাত্রীরা জানিয়েছিলেন অভিযোগ। পরদিন তদন্তে নেমে চার যুবককে গ্রেপ্তার করলো রেল পুলিশ। ধৃতরা হল- সজল নাথ (১৯), রাহুল ভকত (২৪), রোহিত সিং (১৪), আকাশ কুট্টি(২৪)। যারা সকলেই পূর্ব সিংভূম এলাকার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ শাস্তিযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তারা৷
রেলওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২০ জানুয়ারি রাত ৯:২২ নাগাদ হাওড়া টাটানগর স্টিল এক্সপ্রেসে এই আক্রমণটি হয়েছিল। ট্রেনটি যখন গালুডি থেকে রাখা মাইনস স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় ছিল ঠিক সেই সময় অন্ধকার থেকে ট্রেনের জানালা লক্ষ্য করে প্রচন্ড পাথর ছোঁড়া হয়েছিল। এতে ট্রেনের কাঁচ ভেঙ্গে যাত্রীরাও আঘাত পেয়েছিলেন। ঘটনার পরে ট্রেনটি সামনের স্টেশনে পৌঁছলে রেলওয়েতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্ত শুরু হয় সেই রাত থেকেই। রাতেই তদন্তকারী টিম তৈরী করে ফেলা হয় রেলের পক্ষ থেকে৷
একুশে জানুয়ারি রেলের তদন্তকারী বাহিনীদের নিয়ে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। গালুডি থেকে রাখা মাইনস বিভাগের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থান চিহ্নিত করে রেলওয়ে গোয়েন্দাদের অভিযান শুরু হয়। সেই অভিযানে তদন্তে নেমে প্রথমে দু:জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের প্রথম জন রাহুল ভকত (২৪), পূর্ব সিংভূম জেলার দুর্কু এলাকার বাসিন্দা। অপরজন সজল নাথ (১৯), ওই জেলার কুলডিহা এলাকার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে আইনের ১৫৩, ১৭৯/২ ধারাতে অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে তোলা হয় চাইবাসা আদালতে।
তদন্ত এরপরও থেমে থাকেনি৷ গ্রেফতার হওয়া যুবকদের জেরা করে আরও যুবকদের উপস্থিতির তথ্য উদ্ধার হয়৷ তদন্তে নেমে গালুডি -রাখামাইন্স বিভাগে আরও দু’জনকে পরে গ্রেফতার করা হয়। যার একজন রোহিত সিং (২৪), অপরজন আকাশ কুট্টি(২৪)। দুজনেই পূর্ব সিংভূমের নবরং এলাকার বাসিন্দা। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ঘটনায় যাত্রী নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়াতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ধারা দেওয়া হচ্ছে। ১৯৮৯ সালের রেলওয়ে আইনের ১৫৩ ধারার অধীনে কঠোরভাবে এটি দণ্ডনীয়। এরজন্য বহু বছর জেল খাটতে হবে অভিযুক্তদের।