৬ কোটি ৬০ লক্ষ ব্যয়ে ঝাড়গ্রামে তৈরি হচ্ছে ৪টি নতুন রাস্তা, শিলান্যাস মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২২ নভেম্বর: পাকা ধান বাড়িতে তোলার আগেই গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য ৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪টি নতুন রাস্তার শিলান্যাস করলেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। বুধবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম সদর গ্রামীণ ব্লকের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণষোল মোড় থেকে কালিনগর, প্রায় ২.৩ কিলোমিটার রাস্তার শিলান্যাস করেন মন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে পিচ রাস্তাটি নির্মাণ করা হবে। রাস্তার শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি রেখা সরেন, রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কবিতা মুদি, রাধানগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি বিদ্যুৎ ঘোষ সহ পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা।

জানা গিয়েছে, আনুমানিক ৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা টাকা ব্যয়ে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে ঝাড়গ্রাম সদর গ্রামীণ ব্লকের রাধানগর, বাঁধগোড়া ও মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ৪টি ঢালাই ও পিচ রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণষোল থেকে কালিনগর পর্যন্ত ২.৩ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। যার জন্য বরাদ্দ হয়েছে আনুমানিক ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। বাঁধগোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আমঝুঁকি থেকে সাতপাটি পর্যন্ত প্রায় ২.৭ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। যার কিছুটা অংশ পিচ ও ঢালাই হবে। বরাদ্দ করা হয়েছে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। এছাড়াও বাঁধগোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে আরেকটি রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। নলবনা গ্রাম থেকে নলবনা জাহের থান পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা, যার কিছুটা ঢালাই ও কিছুটা পিচ হবে। যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠাকুরথান এলাকা থেকে বেলতলা পর্যন্ত ৩.১ কিলোমিটার পিচ ও ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে, যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ল। এদিন এই চারটি রাস্তার শিলান্যাস করেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। আজ থেকেই রাস্তাগুলির কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।

বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “৪টি রাস্তার শিলান্যাস করা হলো। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে। এলাকার মানুষের স্বার্থে রাস্তার কাজ হবে। মানুষ যাতে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত না হয় সেটা আমরা সবসময় নজরে রেখেছি। আমি এখানকার সকল মানুষকে জানিয়েছি, রাস্তার কাজ যেন ভালোভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার বাধা যেন না দেয়। কারো যদি কোনো আপত্তি থাকে তা যেন আমাদের জানায়। কারণ রাস্তাটি এলাকার মানুষের জন্যই। রাস্তার কাজ যাতে ভালো ভাবে হয় তা আমরা সকলেই গুরুত্ব দিয়ে দেখবো।”

কালিনগর গ্রামের বাসিন্দা সহদেব মাহাতো ও কমলকান্ত মাহাতো বলেন, “রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। বর্ষাকালে হাঁটাচলা যায় না। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি আসতে চাইত না। পাকা ধান বাড়িতে তোলার সময় প্রচুর সমস্যায় পড়তে হতো। এবার থেকে আর আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। নতুন রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *