আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৫ অক্টোবর: নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সংসদ অর্জুন সিং কে ঘরে বাইরে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। গতকাল মেঘনা মোড় এলাকায় বোমা গুলির আঘাতে নিজের বাসভবনের সামনে জখম হয়েছিলেন প্রাক্তন সংসদ অর্জুন সিং ও তার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। হামলার ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করছে।
প্রাক্তন সংসদের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি করতে চাইছেন তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক। হালিশহরে একটি পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে পার্থ ভৌমিক বলেন, এটা সিং পরিবারের ব্যক্তিগত ঝামেলা। এর সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। অর্জুন সিং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে টাকা আদায় করে নিছে। পারিবারিক ঝামেলা। এক ধাপ এগিয়ে প্রাক্তন সংসদকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ও আমার বন্ধু। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের হাতে ও মার খাবে এটা ভালো লাগবে না। বয়স হয়েছে শান্তিতে থাকুক।
এই কথা শুনে অট্টহাসি হেসে এ প্রাক্তন সংসদ অর্জুন সিং বলেন, পার্থ ভৌমিক একটা সময় আমার ‘চেলুয়া’ (চেলা) ছিল। আমার বাড়িতে এসে বসে থাকতো, আমি না গেলে নৈহাটিতে মিটিং করতে পারত না। ২০০৯ এর নির্বাচনের পর ও রাজনীতিতে এসেছে।
এদিকে, অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে হামলার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার সকালে অর্জুনবাবুর বাড়ি সামনে ইট ও বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি গুলিও ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের প্রাথমিক জেরার পরে শনিবার ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করবে জগদ্দল থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তবে এই দুষ্কৃতীদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাঁদের কোনও রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কি না, সেটিও এখনও স্পষ্ট নয়।
অর্জুনবাবুর দাবি, বোমার স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে তাঁরও। শুক্রবারের সেই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছিল জগদ্দল থানার পুলিশ।