আমাদের ভারত, ৬ ফেব্রুয়ারি:ভারতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে করোনার টিকাকরন। ১৬ জানুয়ারি থেকে প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে এখন। এই দুই পর্যায়ে তিন কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর মার্চ মাস থেকে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হতে পারে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন। ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের এই টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সংসদে অধিবেশন চলাকালীন এই মন্তব্য করেছেন ডঃ হর্ষবর্ধন। ২০২১-২২এর কেন্দ্রীয় বাজেটে করোনার টিকাকরনের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনে বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে বলেও জানিয়ে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
দেশজুড়ে প্রথম পর্যায় টিকাকরণ মসৃণভাবে চলছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের অনেক রাজ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকা করন শুরু হয়েছে। এই পর্যায়ে দেশ জুড়ে প্রায় দু’কোটি ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শেষ হওয়ার পর আগামী মাস থেকে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হতে পারে। এই পর্যায়ে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে। যদিও এই পর্যায়ের জন্য কোন নির্দিষ্ট ঘোষণা এখনো করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ডঃ হর্ষবর্ধন বলেন, “এই মুহূর্তে কোনো নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা করা সম্ভব নয়, কিন্তু আশা করছি মার্চের দ্বিতীয়, তৃতীয়, বা চতুর্থ সপ্তাহ থেকে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হতে পারে।”
প্রথম দুই পর্যায়ের বিনামূল্যে কোভিদ টিকা দেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ বিনামূল্যে হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবে ন্যাশনাল এক্সপোর্ট গ্রুপ , বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।