রাজেন রায়, কলকাতা, ২৯ অক্টোবর: মাসখানেক ধরে ৮৭ শতাংশের ফাঁড়া যেন কাটছিলই না। কখনও দশমিকে ওপরের দিকে, আবার কখনও নিচের দিকে ঘোরাফেরা করছিল সুস্থতার হার। থাকার পর অবশেষে উৎসবের মরসুমেই সুস্থতার হার পৌঁছল ৮৮ শতাংশে।
রাজ্যে ২৪ ঘন্টায় নতুন সংক্রমণের হদিশ ৩৯৮৯ জনের, সুস্থ হয়েছেন ৩৯৪৫ জন আর মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮.০২ শতাংশে।
বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘন্টায় ৩৯৮৯ জন নতুন আক্রান্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৬৫৬৯২ জন। এদিন আরও ৬১ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে সরকারি হিসেবে মোট করোনায় মৃত্যু ৬৭২৫ জনের। ২৪ ঘন্টায় আরও ৩৯৪৫ জন সুস্থের হিসেব ধরলে মোট সুস্থ হলেন ৩২১৮৭৩ জন।
এদিনও অন্যান্য জেলার সঙ্গে কলকাতায় ৯৩৩ জন, উত্তর ২৪ পরগনাতে ৯২৭ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৫৩ জন, হুগলিতে ২৪৭ জন, হাওড়ায় ২০২ জন, জলপাইগুড়িতে ১৮০ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৫৪ জন, দার্জিলিংয়ে ১১১ জন এবং মালদায় ১০৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ৩৭০৯৪ জন। এ দিন ফের হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ার বদলে কমল ১৭ জন।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৯৪টি ল্যাবে মোট করোনা টেস্ট করা হল ৪৪৬৮৪৯৬ জনের। যার মধ্যে ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২৫৫৩ জনের। রাজ্যের ৯৪টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল, ৩৮ টি সরকারি এবং ৫৫টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১২৮১১টি বেড আছে, আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে ১৮০৯ জনের। ভেন্টিলেটর রয়েছে ১০৯০টি। তার মধ্যে মাত্র ৩৪.৯৩ শতাংশ রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি ৫৮২টি কোয়ারেন্টাইনে এখন রয়েছেন ২৩৬৭ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১০৮০২৫ জনকে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯৬৬১৩ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৭৯২৮০৯ জনকে। রাজ্যের ২০০টি সেফ হোমে ১১৫০৭টি বেড রয়েছে এবং তাতে ৯৫৭ জন রোগী রয়েছেন।
এছাড়া এদিনের মৃত্যু হিসেবে বুলেটিনে জেলাওয়াড়ি তথ্যে জানানো হয়েছে, এদিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। এ দিন কলকাতায় ১৫ জনের, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৪ জন আর হুগলিতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হাওড়াতে ৫ জন, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪ জন করে, মালদা ও পূর্ব বর্ধমানে ২ জন করে আর কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন করে আরও ২৬ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিন অন্যান্য জেলার সঙ্গে কলকাতায় ৮৯৪ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮৭৮ জন, হাওড়ায় ২৭৯ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৫৮ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২০০ জন, নদিয়ায় ১৮০ জন, হুগলিতে ১৭৬ জন, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে ১২২ জন করে, দার্জিলিংয়ে ১১৯ জন, আর মালদায় ১০৮ জনের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিনও সংক্রমণ বেড়েছে রাজ্যের সব জেলাতেই।