রাজেন রায়, কলকাতা, ৫ নভেম্বর: হাসপাতালে রেকর্ডসংখ্যক করোনা রোগী হ্রাস এবং সংক্রমণ কমে যাওয়ার ফলে সুস্থতার হার ছাড়িয়ে গেল ৮৯ শতাংশ।
এ দিন ফের হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও কমেছে ২৯৩ জন, যা সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
রাজ্যে ২৪ ঘন্টায় নতুন সংক্রমণের হদিশ ৩৯৪৮ জনের, সুস্থ হয়েছেন ৪১৮৭ জন আর মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার সংক্রমণ কমেছে ৩৯ জনের এবং সুস্থদের সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.০৫ শতাংশে।
বৃহস্পতিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘন্টায় ৩৯৪৮ জন নতুন আক্রান্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৯৩৫২৪ জন। এদিন আরও ৫৪ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে সরকারি হিসেবে মোট করোনায় মৃত্যু ৭১২২ জনের। ২৪ ঘন্টায় আরও ৪১৮৭ জন সুস্থের হিসেব ধরলে মোট সুস্থ হলেন ৩৫০৪৪৯ জন।
এদিনও অন্যান্য জেলার সঙ্গে কলকাতায় ৭২৫ জন, উত্তর ২৪ পরগনাতে ৭২৩ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩৪০ জন, নদিয়ায় ৩২৮ জন, বীরভূমে ২৫৫ জন, বাঁকুড়ায় ২৩১ জন, হাওড়ায় ২১৬ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৯৮ জন, পূর্ব বর্ধমানে ১৫১ জন, হুগলিতে ১৪৮ জন, মুর্শিদাবাদে ১৪৪ জন আর দার্জিলিংয়ে ১০৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ৩৫৯৫৩ জন।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৯৪টি ল্যাবে মোট করোনা টেস্ট করা হল ৪৭৭৮৯৭৫ জনের। যার মধ্যে ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫৪৬৭ জনের। রাজ্যের ৯৬টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল, ৪১টি সরকারি এবং ৫৫ টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১২৯৬৬ টি বেড আছে, আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে ১৮০৯ জনের। ভেন্টিলেটর রয়েছে ১০৯০ টি। তার মধ্যে মাত্র ৩৫.১৯ শতাংশ রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি ৫৮২টি কোয়ারেন্টাইনে এখন রয়েছেন ২৩২১ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১০৮১৪৯ জনকে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯৭৯২১ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৮৩৩০৮৮ জনকে। রাজ্যের ২০০ টি সেফ হোমে ১১৫০৭টি বেড রয়েছে এবং তাতে ১০৪১ জন রোগী রয়েছেন।
এছাড়া উৎসবের মরসুমে রাজ্য কমেছে মৃত্যুহারও। এদিনের মৃত্যু হিসেবে বুলেটিনে জেলাওয়াড়ি তথ্যে জানানো হয়েছে, এদিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। তার মধ্যে এ দিন কলকাতায় ১৫ জনের, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৪ জন ও হাওড়ায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলিতে ৪ জন করে, নদিয়ায় ৩ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২ জন, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমানে ১ জন করে আরও ১৮ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিন অন্যান্য জেলার সঙ্গে কলকাতায় ৮৫৫ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৮৩৬ জন, হাওড়ায় ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৭০ জন করে, হুগলিতে ২২২ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১৮ জন, নদিয়ায় ১৯২ জন, দার্জিলিংয়ে ১৩৬ জন, পশ্চিম বর্ধমানে ১১০ জন এবং জলপাইগুড়িতে ১০২ জনের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।