আমাদের ভারত, ১৮ আগস্ট: ভারত বিরোধী তথা
পাকিস্তানপন্থী তুরস্কের ফার্স্ট লেডির সঙ্গে বলিউড অভিনেতা আমির খানের সাক্ষাত নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এই সাক্ষাৎকার নিয়ে তোপ দেগেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তারা অভিনেতার কাছে এক সাক্ষাৎকারের ব্যখ্যা দাবি করেছেন।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই তুরস্ক পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছে। কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে যে দেশ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম তুরস্ক। আর সেই তুরস্কের ফার্স্ট লেডির সঙ্গে অভিনেতা আমির খান সাক্ষাৎ করেছেন। ফলে সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। সাক্ষাৎকারের ব্যখ্যা দাবি করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও।
“লাল সিং চাড্ডা” সিনেমার শুটিংয়ের জন্য রেইকি করতে তুরস্কে গিয়েছেন আমির সহ সিনেমার গোটা ইউনিটের অনেকে। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাজের ফাঁকে তুরস্কের ফার্স্ট লেডির সঙ্গে দেখা করেন আমির খান। ইস্তাম্বুলে হওয়া এই সাক্ষাৎকার নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে নেটিজেনরা। তাদের প্রশ্ন কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরোধিতার পথ গ্রহণ করেছে তুরস্ক। সেখানে কেন আমির সে দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন?
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির সুব্রামানিয়াম স্বামী, দাবি করেছেন ভারতে ফিরলে আগে আমির খানকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা উচিত। তিনি আরো বলেছেন তুরস্কে ভারতের রাষ্ট্রদূতাবাসের প্রতিনিধি ছাড়া আমিরের এই সাক্ষাৎ করা একেবারেই ঠিক নয়।
সম্প্রতি এক গোয়েন্দা রিপোর্টে দেখা গেছে পাকিস্তানের পর যে দেশে সব থেকে বেশি ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চলছে সেটা তুরস্ক। আগস্ট মাসে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী এরদোয়ান পাকিস্তানের সফরে এসে কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্যের লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এছাড়াও আঙ্কারায় একটি বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, “পাকিস্তানের কাছে কাশ্মীর এখন যতটা বড় ইস্যু আমাদের কাছে ঠিক ততটাই। ন্যায় শান্তির প্রশ্নে কাশ্মীরের পাশেই থাকবে তুরস্ক।”
আমিরের এই সাক্ষাৎকারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভিএইচপি প্রশ্ন তুলেছে, যে তুরস্ক টানা ভারতে বিরোধিতা করেছে, সেই দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে কেন দেখা করবেন আমির? এর ব্যাখ্যা অভিনেতার কাছে দাবি করা হয়েছে ভিএইচপির তরফে।
ভিএইচপির মুখপাত্র বিনোদ বনসল বলেছেন,” আমির খানের তুর্কি ফার্স্ট লেডি সঙ্গে দেখা করা প্রমাণ করে দেশের কিছু অভিনেতা রয়েছেন যারা ভারত বিরোধী দেশের প্রতি সহানুভূতিশীল। আমির খান সম্মান খ্যাতি পেয়েছেন এদেশেই। অথচ এখন ভারতবিরোধী একটি দেশের লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সম্মানিত বোধ করছেন। এর জন্য দেশের মানুষ ক্ষুব্দ। আমিরের উচিত এই সাক্ষাতের ব্যাখ্যা দেওয়া।”