রাজেন রায়, কলকাতা, ২৯ আগস্ট: সুস্থতা বাড়ায় টানা ৬ দিন ধরে রাজ্যের হাসপাতালে কমল রোগীর সংখ্যা। শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, ফের রাজ্যে ২৪ ঘন্টায় নতুন সংক্রমণের হদিশ ৩০১২ জনের, মৃত্যু ৫৩ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ৩১২৬ জন। সুস্থতার হার ৮১.৪২ শতাংশ।
২৪ ঘন্টায় ৩০১২ জন নতুন আক্রান্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৬৭৬৬ জন। এদিন আরও ৫৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে সরকারি হিসেবে মোট করোনায় মৃত্যু ৩১২৬ জনের। ২৪ ঘন্টায় আরও ৩৩১২ জন সুস্থের হিসেব ধরলে মোট সুস্থ হলেন ১২৭৬৪৪ জন।
এদিনও অন্যান্য জেলার সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনাতে ৭৫৩ জন, কলকাতাতে ৫৬০ জন, হুগলিতে ৩১৩ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৪৩ জন, হাওড়ায় ১৮২ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৪৪ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৩৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ২৫৯৯৬ জন। এদিনও সুস্থতার হার বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে করোনা চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বাড়ার বদলে কমে গিয়েছে ৩৫৩ জন।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে, এদিন পর্যন্ত রাজ্যের ৭০টি ল্যাবে মোট করোনা টেস্ট করা হল ১৮০১৯৬০ জনের। যার মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩২৩২ জনের। রাজ্যের ৮৭টি করোনা হাসপাতাল, ৩২টি সরকারি এবং ৫৫ টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১২০৪৫টি বেড আছে, আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে ১২৪৩ জনের। ভেন্টিলেটর রয়েছে ৭৯০টি। তার মধ্যে মাত্র ৩৩.২৮ শতাংশ রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি ৫৮২টি কোয়ারেন্টাইনে এখন রয়েছেন ২৫১১ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১০৭২৪৪ জনকে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫১৫৯৭ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৪৫৯২৯৪ জনকে। রাজ্যের ২০০টি সেফ হোমে ১১৫০৭টি বেড রয়েছে এবং তাতে ১৭৪৪ জন রোগী রয়েছেন।
এছাড়া এদিনের বুলেটিনে জেলাওয়াড়ি তথ্যে জানানো হয়েছে, এদিন রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। বুলেটিন অনুযায়ী এ দিন ১২ জনের মৃত্যু কলকাতায়, ৮ জন উত্তর ২৪ পরগনায়, ৭ জন হাওড়ায়, ৬ জন দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এছাড়া মালদা, বাঁকুড়া ও হুগলিতে ৩ জন করে, কোচবিহার ও দার্জিলিংয়ে ২ জন করে আর আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান ১ জন করে আরও মোট ২০ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, এছাড়া এদিন অন্যান্য জেলার সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৬৩ জন, কলকাতায় ৪৭০ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৯৩ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ২০১ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৮৪ জন, আলিপুরদুয়ারে ১৭৮ জন, হাওড়ায় ১৪৯ জনের, কোচবিহারে ১৪৫ জন, নদিয়ায় ১১৪ জনের উল্লেখযোগ্য হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিনও সংক্রমণ বেড়েছে রাজ্যের সব জেলাতেই।

