আমাদের ভারত, ২২ এপ্রিল: নিজামুদ্দিনের সমাবেশে যোগ দেওয়া এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক সহ ৩০ জন তাবলিগি জামাতকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এরা এলাহাবাদে দুটি মসজিদে লুকিয়ে ছিল। ধৃতদের মধ্যে ১৬ জন বিদেশি রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই দিল্লির নিজামুদ্দিনের সমাবেশে যোগ দিয়েছিল।
এলাহাবাদের পুলিশ সুপার বৃজেশ কুমার শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ধৃত অধ্যাপক মোহাম্মদ সাহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই বিদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য। তিনি মসজিদে এই বিদেশী তবলিগ জামাত সদস্যদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন এবং এ ব্যাপারে পুলিশকে কিছু জানাননি। তিনিও নিজামুদ্দিনের সমাবেশে গিয়েছিলেলন। ধৃতদের মধ্যে ৯ জন থাইল্যান্ডের এবং ৭ জন ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা। এছাড়া কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গের একজন করে রয়েছেন। এলাহাবাদের অধ্যাপককে হেফাজতে নেওয়া হলেও বাকিদের আইসোলেশন রাখা হয়েছে।
দিল্লির নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশ থেকেই দেশে ভীষণভাবে ছড়িয়ে পড়ে মারণ করোনার সংক্রমণ। দিল্লির ওই সমাবেশে বিশ্বের একাধিক দেশ থেকে মানুষজন যোগ দিয়েছিলেন। সমাবেশ ফেরত অনেককেই দেশের একাধিক রাজ্যে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। পরে তাঁদের অনেকের শরীরেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। নিজামুদ্দিনের ওই সমাবেশের পরই দেশে লাফিয়ে বাড়ে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় সরকার ওই সমাবেশে যোগ দেওয়া প্রত্যেককে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেয়। কারও শরীরে কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই তড়িঘড়ি যাতে তাঁদের চিকিৎসা করা যায় সেই পদক্ষেপ করে কেন্দ্র।
এত কিছুর পরেও সব আবেদন অগ্রাহ্য করে মসজিদে লুকিয়ে বসেছিলেন ৩০ জন জামাতি। মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও এরা নিজেদের করোনা সংক্রমণ আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসেননি।