India, Bangladesh, Gold, গাইঘাটার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ৩ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট উদ্ধার, গ্রেফতার ১

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২২ জানুয়ারি:
ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকার সোনার বিস্কুট উদ্ধার করল বিএসএফ। এই ঘটনায় ভারতীয় এক পাচারকারী গ্রেফতার। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার আংরাইল সীমান্ত থেকে উদ্ধার হয় সোনাগুলি। বিএসএফ জানিয়েছে, একটি ব্যাগের মধ্যে দুটি সোনার বার ও ৩৯টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন ৪ কেজি ৮২৯ গ্রাম। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। ধৃত পাচারকারীর নাম প্রসেনজিত মন্ডল।

বিএসএফ সূত্রের খবর, এদিন রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ প্রসেনজিত একটি ব্যাগ হাতে বাংলাদেশ সীমান্তের ইছামতী নদী পাড় করে ভারতে ঢোকে। সেই সময় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের নজরে পড়ে যায়। তারা রাতের অন্ধকারে তার পিছু নেয়। আংরাইল হালদার পাড়া পৌছাতেই তাকে আটক করে। তল্লাশি চালিয়ে তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় দুটি সোনার বার ও ৩৯টি সোনার বিস্কুট। ধৃতকে সোমবার শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ২১ জানুয়ারি আংরেল (ঘোষপাড়া) গ্রামের এক ব্যক্তি তার বাড়িতে আসেন এবং বাংলাদেশ থেকে সোনা আনতে বলেন, যা একজন বাংলাদেশি নাগরিক সেখানে নিয়ে আসবেন। এরপর দু’জনে ইছামতি নদীর তীরে পৌঁছালে আরও দুজনের সঙ্গে দেখা হয়, তাদের সঙ্গে তিনি সোনা চোরা চালানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাকে একটি মোবাইল ফোন বহন করতে বলা হয়েছিল যাতে লোকটি তাকে সহায়তা করতে পারে, এবং এছাড়াও বিএসএফ সেন্ট্রির কার্যকলাপের উপর নজর রেখে ফোনে তাকে অবহিত করতে পারে। ইছামতি নদী সাঁতরে পার হওয়া এক বাংলাদেশি ইছামতি নদীর তীরে তার হাতে সোনা তুলে দেন। এরপর ওই বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশে ফিরে যান। যখন তারা ভারতের দিকে ফিরে আসে, তখন তাকে ফোনে জানানো হয়, যে বিএসএফ সেন্ট্রির উপর নজর রাখছিল বিএসএফ জওয়ানরা তাদের দেখেছে, এবং তাড়াতাড়ি তাদের পালিয়ে যেতে বলে। এ কথা শুনে অন্য দুই ব্যক্তি সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও বিএসএফ জওয়ানরা তাকে সোনা-সহ ধরে ফেলে।

জিজ্ঞাসাবাদের সময়, তিনি তাদের আরও বলেছিলেন যে, সফলভাবে সোনা সরবরাহ করার পরে তাকে পারিশ্রমিক হিসাবে ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু যখন সে ফিরে আসছিল, তখন বিএসএফ জওয়ানরা তাকে সোনার চালানসহ ধরে ফেলে। যে দল তার কাছ থেকে সোনা নেবে সে সম্পর্কে তার কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানান তিনি। গ্রেফতার হওয়া চোরাকারবারী এবং উদ্ধার হওয়া সোনা পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলকাতার ডিআরআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *