সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৮ অক্টোবর: গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে উত্তর বাঁকুড়ার শিল্পাঞ্চলের বড়জোড়ায় ২ ‘টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ২৮ জন যাত্রী।গুরুতর জখম সাতজনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্হানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার পর যানজট সমস্যা সমাধানের জন্য ফের উড়ালপুলের দাবিতে সোচ্চার নাগরিক সমাজ।
এদিন দুর্গাপুর স্টেশন থেকে দুর্গাপুর- সোনামুখী ভায়া বড়জোড়া রুটের শুভদীপ নামের শেষ যাত্রীবাহী বাসটি ছাড়ে রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ। ১১ টা নাগাদ বড়জোড়া ঢোকার আগে এসবিআই ব্যাঙ্কের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি টুরিস্ট বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ফলে দুটি বাসের ২৮ জন যাত্রী জখম হন। মহিলা ও শিশুদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বড়জোড়া চৌমাথা মোড়ের ট্রাফিক সামলাতে ব্যস্ত পুলিশ কর্মীরা সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। ততক্ষণে থানা থেকে আরো পুলিশ এসে যায়। সকলকে উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুর্গাপুর থেকে সোনামুখী যাচ্ছিল শুভদীপ নামের যাত্রীবাহী বাসটি। অপরদিকে বাঁকুড়ার দিক থেকে দুর্গাপুরমুখী একটি লাক্সারি টুরিস্ট বাস আসছিল। দুই চালকই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের তীব্রতা এতোটাই জোরালো ছিল যে দু’টির বাসেরই সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। দুটি বাসের চালক সব থেকে বেশি জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, ২১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন ৭ জন। তাদের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বড়জোড়াবাসীর গুরুতর অভিযোগ, প্রশাসনিক গাফিলতির কারণে শিল্পাঞ্চলের এই এলাকাটি দিনদিন দুর্ঘটনা প্রবন হয়ে উঠছে। বড়জোড়ায় যানজট লেগেই রয়েছে। ফুটপাথ বলে কোনো জিনিস নেই। রাস্তার উপর দিয়েই মানুষকে হাঁটাচলা করতে হয়। ফলে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন কেউ না কেউ। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি, বড়জোড়া চৌমাথা মোড়ে উড়ালপুল তৈরি করা হোক অথবা বিকল্প হিসেবে বাইপাস রাস্তা নির্মাণ করা হোক।
এবিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক অলক মুখার্জি বলেন, আমি বড়জোড়ার যানজট নিয়ে বিধানসভায় তুলেছি। উড়ালপুলের ব্যাপারেও চিঠি দিয়েছি পূর্ত মন্ত্রকের কাছে। সমস্যা সমাধানে সরকার শীঘ্রই উদ্যোগ গ্ৰহণ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।