আমাদের ভারত, ১৪ এপ্রিল: ২০২৩ সালের প্রাথমিক শেষ (বৃত্তি) পরীক্ষার ২৭৭ জন কৃতি ছাত্রছাত্রীকে রবিবার বিভীষণপুর (উচ্চ মাধ্যমিক) হাইস্কুলে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার দেওয়া হল।
শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ, পশ্চিমবঙ্গ ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর রাজ্যজুড়ে বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালনা করছে। চতুর্থ শ্রেণির শেষে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পর্ষদের অধীন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর আঞ্চলিক পরীক্ষা পরিচালন কমিটির উদ্যোগে এদিন এই অঞ্চলের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত ভাষণে বিভীষণপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার মণ্ডল শিক্ষার মধ্যে দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা যাতে প্রকৃত মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য শিক্ষক এবং অভিভাবকদের ভূমিকার দিকটি গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেন।
পর্ষদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন গৌরীশঙ্কর দাস। তিনি এই পর্ষদ গঠন এবং তার ভূমিকা পালনের ঐতিহাসিক প্রয়োজনের দিকটি তুলে ধরার সাথে সাথে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের আগামী দিনে আরও উন্নত শিক্ষা গ্রহণের মধ্যে দিয়ে সমাজের বিবিধ সমস্যার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান এবং তার প্রতিকারে যথার্থ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জেলার বিশিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগী মানুষদের অনেকেই শিক্ষার বর্তমান সঙ্কট এবং সমস্যার দিকগুলি তুলে ধরে তার প্রতিকারে সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সম্পন্ন মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পর্ষদের আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ওয়েদুর রহমান, বুদ্ধদেব রায় চৌধুরী, গোকুল মুড়া, অশোক মাইতি, প্রমুখ। এরা উপস্থিত সমস্ত কৃতি ছাত্রছাত্রীদের হাতে শংসাপত্র এবং পুরস্কার তুলে দেন।