আমাদের ভারত, ১৩ অক্টোবর: করোনার মত অতিমারি পরিস্থিতিতে বেসরকারি স্কুলগুলিতে টিউশন ফি মুকুবের আবেদন করেছিলেন অভিভাবকরা। সেই আবেদনে সারা দিয়ে ২০ শতাংশ টিউশন ফি কমানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে মুকুব করা হলো নন অ্যাকাডেমিক ফি-ও।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল। অনলাইনে অর্থাৎ ভার্চুয়ালি পড়াশোনা চলছে। কিন্তু স্কুল ফি যথারীতি একই রয়েছে। তাই রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের সামনে ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ ছিল স্কুল বন্ধ থাকলেও বেতন কম নিচ্ছে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। অথচ পড়াশোনা চলছে ভার্চুয়ালি।
হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি স্কুল গুলিকে কুড়ি শতাংশ টিউশন ফি কমাতে হবে। তবে যারা ইতিমধ্যে ফি জমা দিয়েছেন তারা আর ফেরত পাবেন না।
অনলাইনে পঠন-পাঠন হলেও বাস ভাড়া, কম্পিউটার ল্যাব ইত্যাদির নন অ্যাকাডেমিক ফি নিচ্ছিল স্কুল গুলি। এগুলির ক্ষেত্রেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এছাড়াও অভিভাবকদের আরো কিছু সুবিধা দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে আরো একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এই কমিটিতে রয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী, ব্যারিস্টার তিলক বসু ও হেরিটেজ স্কুলের প্রিন্সিপাল।
তবে এক্ষেত্রে রাজ্যের সব অভিভাবকদের ঠিক কতটা সাশ্রয় হলো তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যেই শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে আর ৯০% অভিভাবকই স্কুল ফি দিয়ে দিয়েছেন, আর হাইকোর্টের যা নির্দেশ তাতে তারা প্রদেয় ফি আর ফেরত পাবেন না।