স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত,নদিয়া,১৪ জুন: বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার মন্তব্যের প্রতিবাদে গত রবিবার সন্ধ্যায় বেথুয়াডহরীতে বিক্ষোভ হয়। সেই সময় স্টেশনে ঢুকে লালগোলা প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ব্যাপক ভাঙ্গচুর চালায়। এই ঘটনায় যাত্রীরাও আহত হয়। বাজার এলাকাতেও হামলা চালায় বিক্ষোভকারিরা। প্রতিবাদে সোমবার থেকে ৭২ ঘণ্টা ব্যাবসা বন্ধের ডাক দিয়েছে এলাকার ব্যাবসায়ীরা। এরই মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় ব্যাপক বোমাবাজি এবং ইটবৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকের মাথা ফেটেছে।
রবিবারের ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকে বেথুয়া এলাকা জুড়ে থমথমে পরিবেশ। বিশেষ বিশেষ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সোমবার সকাল থেকে সমস্ত দোকানপাট, বাজারহাট বন্ধ রয়েছে।
প্রসঙ্গগত, রবিবার বিক্ষোভকারীরা বেথুয়া ডহরী হাসপাতালের সামনে এবং ৩৪নং জাতীয় সড়কের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ভাঙ্গচুর চালায়। বাদ যায়নি দোকানপাট এবং স্থানীয়দের বাড়ি-ঘর। এছাড়া স্টেশন সহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গচুর চালানো হয়।এর পরই এলাকাতে ১৪৪ধারা জারি করা হয়। পুলিশ সুত্রে জানানো হয়েছে, ট্রেনে ভাঙ্গচুর ও গন্ডগোলের ঘটনায় ২০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকে বেথুয়া ব্যবসায়ী সমিতি ৭২ ঘণ্টা বন্ধ রেখেছে। গতকাল বিকেলে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। মুহূর্তের মধ্যে রনক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেথুয়াডহরীর স্টেশন চত্বর এলাকা। খবর পেয়ে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী, নামানো হয় র্যাফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। এই বোমাবাজির ঘটনায় পুলিশ স্থানীয় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর আরো অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পথে নামে মহিলারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়ি থেকে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের বিনা কারনে আটক করে নিয়ে যায়। বিক্ষোভকারিদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কিছু জায়গায় লাঠি চার্জ করে পুলিশ।
বেথুয়াডহরী ব্যবসায়ী সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট কল্যাণ দাসের অভিযোগ, এই ঘটনায় পুলিশ নিষ্ক্রিয়। তাঁর অভিযোগ পুলিশ যদি বেথুয়াডহরীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না আনতে পারে তাহলে তারা আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।