আমাদের ভারত, ৫ ফেব্রুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় সরকারকে অপদস্থ করার একটা চেষ্টা চলছে বলে নিজের অনুমানের কথা জানালেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। কয়লাখনির দুই শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় সোমবার অগ্নিমিত্রা মৃতদের বাড়িতে যান। ইসিএল-এর জিএম-এর সঙ্গেও তিনি দেখা করেন।
রাজ্য বিজেপি-র তরফে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, রবিবার মাঝরাতে আসানসোলের আম্রসোটা কোলিয়ারীতে রহস্যজনকভাবে দু’জন সাধারণ মানুষ রাজেশ তুড়ি ও বিনোদ ভুঁইয়ার মৃত্যু ঘটে। তাদের পরিবারের সাথে দেখা করে কিছু আর্থিক সহায়তা দেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পাল।
অগ্নিমিত্রা সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন, “তৃণমূল এবং সিপিএম চক্রান্ত করে খনিতে মৃত্যু বলে চালাতে চাইছে। মোদীজীর বিরুদ্ধে শ্লোগান দিচ্ছে। গালাগাল দিচ্ছে। কিসের গালাগাল? কোন যুক্তিতে মোদীজী এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষারোপের চেষ্টা?”
ওই দুই শ্রমিক খনিধ্বসে মারা গিয়েছেন বলে অনেকের দাবি। অগ্নিমিত্রা বলেন, “আগে নারায়ণগুড়িতে খনি দুর্ঘটনায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল। তিনটে না পাঁচটা দেহ উদ্ধার করা হয়। আমি ভেবেছিলাম ওরকম কিছু হতে পারে। কিন্তু এখানে সেরকম হয়নি। পুলিশ দেহ খনি থেকে বার করেনি। দেহ নিয়ে এসেছে বাড়ি থেকে। তাহলে ইসিএলের ধ্বসে মৃত্যুর প্রমাণ কোথায়? পুলিশও বলছে আমরা তো একবারও সেরকম বলিনি! যে মারা গিয়েছে, কোথায়, কীভাবে মারা গিয়েছে, হার্ট অ্যাটাকে, না খুন হয়েছে—কে বলবেন?”
অগ্নিমিত্রা সাংবাদিকদের বলেন, “জিএম বলছেন প্রমাণটা কী যে ওখানেই দুর্ঘটনা ঘটেছে? ওনার দিক থেকে এটা একটা বিষয়। উনি বলতে চাইছেন, ওখানে যে সিআইএসএফ-এর রক্ষী ও ওনাদের পাহারাদার রয়েছে, তাদের কারও সামনে তো এরকম ঘটনা ঘটেনি। ইসিএল নিজেদের কোনও গাফিলতির কথা মানতে রাজি নয়।
জিএম-এর বক্তব্য, “অন্য কোথাও ঘটা ঘটনা ইসিএলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। উনি প্রশ্ন করছেন, যা কিছু হবে এই অঞ্চলে সব কি দুর্বল লক্ষ্য হিসাবে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে হবে? যেন মোদীর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।“ এটাও কিন্তু ভেবে দেখার মত। তাই তদন্ত হোক।”
অগ্নিমিত্রা সাংবাদিকদের বলেন, “স্থানীয় বিধায়িকা হিসাবে আমার একটা কর্তব্য আছে। আগে মাননীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে চিঠি লিখেছি। আবার লিখব। পেটের দায়েই হোক বা নজরদারির শিথিলতায় ভিতরে চলে আসছে কেউ, জেলায় এরকম জিনিস হওয়া চলবে না। এটা বন্ধ করতে হবে।”

