আমাদের ভারত, ২০ জুলাই: এর চেয়ে ভালো খবর আর কি বা হতে পারে? দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মিলল সুখবর এলো। অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল সফল। ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে।
করোনায় পৃথিবী জুড়ে মৃত্যু মিছিল থামছে না। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের সফলতা অবশ্যই সুখবর। এই ট্রায়ালে ১০৭৭ জনের উপর ভ্যাকসিনটি ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। যাতে অ্যান্টিবডি ও হোয়াইট ব্লাড সেল তৈরি হয়। যা কিনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
ব্রিটিশ সরকার ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজের ওর্ডার দিয়ে দিয়েছে। ভ্যাকসিনের নাম ChAdOx1 nCoV-19। মানবকূলকে বাঁচাতে খুব দ্রুত ভ্যাক্সিন তৈরি করবে অক্সফোর্ডের গবেষকরা। সারা গিল বার্টের নেতৃত্বাধীন অক্সফোর্ডের গবেষকদের দাবি তাদের তৈরি করা ভাইরাসের ভ্যাকসিন টি সেলস তৈরিতে সক্ষম।
বিশ্বের বহু সংস্থা করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রথম বা দ্বিতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে বলে জানালেও কেউ এখনো দাবি করেনি তাদের তৈরি ভ্যাকসিনে অ্যান্টিবডি সঙ্গে টি সেলস তৈরি হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কোন বিপদজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এই ভ্যাকসিনে হয়নি। যাদের ওপরে ট্রাই করা হয়েছে এটি, তাদের ৭০% জানিয়েছে তাদের জ্বর মাথা ব্যথা হয়েছে। গবেষকরা বলছেন এই জ্বর মাথাব্যথা প্যারাসিটামলের মতো সাধারণ ওষুধেই সেরে যাবে।
সারা গিলবার্ট বলেছেন, “আমাদের তৈরি করোনার ভ্যাকসিনে এই অতিমারি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে এটা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনো আসেনি। এখনো অনেক কাজ বাকি তবে প্রাথমিক ফলাফল আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে।