আমাদের ভারত, ২৩ মে : চিনের পিকিং ইউনিভার্সিটি (Peking University) গবেষকরা দাবি করেছেন তাদের তৈরি এক বিশেষ ওষুধে নিয়ন্ত্রণে আসবে করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ। তাদের আরও দাবি এই ওষুধ আক্রান্ত শরীরে ভাইরাসের লোড দ্রুত কমানোর সঙ্গে সঙ্গে সাময়িকভাবে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
চিনা সংস্থা ক্যানসিনো বায়োলজিকসের প্রথম করণা প্রতিষেধকের হিউম্যান ট্রায়াল ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। অনলাইনে সেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ একটি পত্রিকায় এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনা সংস্থা ক্যানসিনো বায়োলজিকস বিজ্ঞানীরা ১০৮ জন স্বেচ্ছাসেবীকে তিনটে দলে ভাগ করে পরীক্ষা করেছিলেন। এই তিনটি দলের মধ্যে এক একটি দলকে একেক ডোজের প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছিল। গবেষকরা দাবি করেছেন প্রতিষেধক ব্যবহার করার ২৮ দিন হবার পরেও ওই ১০৮ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে কোনো রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
এরপর তারা দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ৫০৭ জনের উপরে প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হকরবেন। তারপরেই প্রতিষেধক সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিজ্ঞানীরা।
রাষ্ট্রসংঘের তরফে কিছুদিন আগেই বলা হয়েছে, প্রতিষেধক ছাড়া করোনাকে আটকানো প্রায় অসম্ভব। করোনাকে রুখতে প্রায় একশটি প্রতিষেধকের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে চারটি ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি।
চারটি প্রতিষেধকের মধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধক রয়েছে। তারপরই উল্লেখযোগ্যভাবে সাফল্য দিকে এগোচ্ছে মোদের্না আর এন এ ভ্যাকসিন।
অন্যদিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অপেক্ষা করছেন নামী ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা অস্ট্রাজেনেকা। এদিকে করোনা প্রতিষেধক তৈরি করার দাবি করেছে বিশ্বের অন্যতম সিগারেট প্রস্তুতকারক সংস্থা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো।
করোনা আটকাতে বিশ্বে জুড়ে চলছে ব্যপক চেষ্টা। ধাপে ধাপে সাফল্যের দিকে এগোচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস কে ১০০% ই আটকে দিতে সক্ষম এমন অ্যান্টিবডিও খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা বলে জানা গেছে।