রাজেন রায়, কলকাতা, ১৫ মে: সরকারি চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের ফরমান জারি করে রাজ্য আটকাতে পারলেও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না সরকার। আর পরিবহণের মত এ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাও দাঁড়িয়ে বেসরকারি হাসপাতালের ওপরেই। এই মুহূর্তে করোনা যুদ্ধে লড়ছে ১৬ টি সরকারি ও ৫২ টি বেসরকারি হাসপাতাল। এই পরিস্থিতিতে শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ১৮৫ জন মণিপুরী নার্সের ইস্তফা দিয়ে ফিরে যাওয়ার ঘটনায় প্রমাদ গুনছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে রাজ্যের তুলনায় ভিনরাজ্যের নার্সের সংখ্যাই বেশি। কেরল, কর্ণাটক, ত্রিপুরা, ওড়িশা এবং মণিপুরের একাধিক নার্স এ রাজ্যে এসে কাজ করেন। চিকিৎসক চিকিৎসার নিদান দিলেও রোগীর খেয়াল রাখেন নার্সরাই। এই অবস্থায় করোনা সংক্রমণ রাজ্যে বেড়ে যাওয়ায় মণিপুর সরকার শহর কলকাতা থেকে ১৮৫ জন নার্সকে নিজের রাজ্যে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি ভাবে তাঁদের ফেরার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই একই পথে হাঁটতে চলেছে ওড়িশা এবং ত্রিপুরাও। সূত্রের খবর, চার্নক হাসপাতাল থেকে ২৭ জন নার্স, পিয়ারলেস হাসপাতাল থেকে ২৫ জন নার্স, আরএন টেগোর হাসপাতাল থেকে ১০ জন নার্স, অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে ১০ জন নার্স এবং রুবি জেনারেল হাসপাতাল থেকে ৬ জন নার্স ইস্তফা দিয়েছেন।
স্বাস্থ্যকর্তাদের কথায়, এমনিতেই এ রাজ্যে প্রয়োজনের তুলনায় নার্সের সংখ্যা অনেক কম। সেই ঘাটতিই খানিকটা পূরণ করেন ভিন্ রাজ্য থেকে এ রাজ্যের নার্সিং কলেজগুলিতে পড়তে আসা পড়ুয়ারা। তাঁরা পড়াশোনা শেষে এখানকার বিভিন্ন হাসপাতালে নার্সিং স্টাফ হিসেবে কাজে যোগ দেন।
ফলে এত নার্স কলকাতার হাসপাতালগুলি থেকে চলে গেলে স্বাস্থ্য পরিষেবা সামাল দেওয়া দুর্বিষহ হবে মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।