আমাদের ভারত, ১৫ মে: ঔরঙ্গাবাদ রেল লাইনের উপরে ১৬জন পরিযায়ী শ্রমিকের মালগাড়ি ধাক্কায় মৃত্যুর ঘটনার মামলা খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও,সঞ্জয় কওল, বিআর গভৈর বেঞ্চে মামলাটি উঠেছিল। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, “কেউ রেললাইনে ঘুমিয়ে পড়লে কি করা যাবে”।
পরিযায়ী শ্রমিকদের এই মামলায় শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, কেউ যদি রেললাইন ধরে হাটতে শুরু করে আদালত তাদের রুখবে কিভাবে? সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল তুশার মেহতা জানান, সরকার প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিকের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু মানুষ ধৈর্য রাখতে পারেনি। হাঁটতে শুরু করেছে। তাই দুর্ঘটনাও ঘটছে।আদালত কিভাবে তাদের ওপর বল প্রয়োগ করবে।”
ঔরঙ্গাবাদ রেল দুর্ঘটনায় ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনায় রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী আলোক শ্রীবাস্তব। কিন্তু ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে,” কেউ রেললাইনের ওপর ঘুমিয়ে পড়লে কি করা যাবে?কে রেল লাইনের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছে কে যাচ্ছে না তা দেখা কখনই আদালতের পক্ষে দেখা সম্ভব না।”
মামলাকারীর উদ্দেশ্যে আদালত আরও জানিয়েছে, “আপনার এই আবেদন পুরোপুরি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে। কে কখন কোথায় হাঁটছে সেটি আদালত কেন ঠিক করবে বা শুনবে ? সেটা আপনি বলুন। এটা তো একেবারেই সেই রাজ্যের দায়িত্ব।” সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শ্রমিকদের থাকা-খাওয়া বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা রাজ্যকেই করতে হবে।
ঔরঙ্গাবাদের ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী গোটা দেশ।ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঔরঙ্গাবাদের কাছে কার্মাদ এলাকায় একটি মাল গাড়ির ধাক্কায় ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন তারা। বাড়ি ফিরতে একসাথে রেললাইন ধরে ৬৫ কিলোমিটার পথ হেঁটেছেন তারা। ভোর রাতে ক্লান্ত হয়ে কার্মাদ সংলগ্ন রেললাইনের ওপরেই ঘুমিয়ে পড়েন তারা। আর পাঁচটা নাগাদ একটি মিল গাড়ি এসে পিষে যায় তাদের।