আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৬ অক্টোবর: তিস্তার জল নামতেই উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক মৃতদেহ। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৬টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে জেলা থেকে। এছাড়া কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ির তিস্তা নদী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশে তিস্তা নদী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে কয়েকটা। বিএফএস ও বিজিবি বৈঠকের পর মৃতদেহ ভারতে নিয়ে আসা হয়।
মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে হরপা বানে সিকিম থেকে সমতলের তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে বন্যা পরিস্থিতির রূপ নেয় গতকাল। সিংটামের বারদাং এলাকা থেকে ২৩ জন সেনা জওয়ান ভেসে যায় তিস্তায়। তাদের মধ্যে এক সেনা জাওয়ানকে গতকাল
স্থিতিশীল অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে শতাধিকের বেশি মানুষ তিস্তায় তলিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত একাধিক মৃতদেহ উদ্ধার হয় তিস্তা থেকে। সব মৃতদেহ জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
এদিকে এদিন দুপুরে তিস্তায় ভেসে আসা কাঠ কুড়োতে গিয়ে জলপাইগুড়ির তিস্তা নদীর পাড়ে দুটি মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসীরা। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা, এনডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্স ও পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল স্বরূপ মণ্ডলের উদ্যোগে কয়েক ঘণ্টায় চেষ্টায় দেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল স্বরূপ মণ্ডল বলেন, “সকলের যৌথ চেষ্টায় দুটি মৃতদেহ উদ্ধার হল তিস্তা থেকে। এক মহিলা ও এক পুরুষের দেহ।” এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা রবি দাস বলেন, কাঠ কুড়োতে গিয়ে দেখি মৃতদেহ। এখানকার না, দেখে মনে হল পাহাড়ের।”
এনডিআরএফ আধিকারিক
হরদীপ চৌধুরী বলেন, আজ দুটি মৃতদেহ তিস্তার চর থেকে উদ্ধার হল। সকাল থেকে আবার উদ্ধার কাজ শুরু হবে।”

