গডসে ও আপ্তেকে শ্রদ্ধা জানাতে ১৫ই শহীদ দিবসের ডাক সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের

আমাদের ভারত, ১২ নভেম্বর: ১৫ নভেম্বর শহীদ দিবসে মহান দুই নেতা নাথুরাম গডসে ও নারায়ণ আপ্তেকে শ্রদ্ধা জানাবে সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্ট। ওই দু’জনকে ‘মহান বিপ্লবী’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে ফ্রন্টের সভাপতি শঙ্কর মণ্ডল বলেন, ওই দিন শহীদ দিবস পালন করব।

তিনি বলেন, “এই বাংলাকে দখল করা যায়, বিভিন্ন আছিলায় তা প্রায়শই সামনে চলে আসে একাধিক ঘটনা প্রবাহের মাধ্যমে। কখনও ধুলাগড়, কখনো বাদুড়িয়া, কখনো বেথুয়াডহরী, কখনো উলুবেড়িয়া, কখনো সলপ এবং সর্বশেষ কলকাতার মোমিনপুর এবং কিছুদিনের মধ্যেই সামনে চলে আসবে নতুন কোনও জায়গা। আসলে এগুলো সবটাই একটা ট্রেলর। আসল পিকচার হয়ত ১৯৪৬-র নোয়াখালীর মতো নতুন কোনও নোয়াখালী অপেক্ষা করছে, তাই এর প্রতিরোধ গড়ার জন্য চাই প্রতিরোধ বাহিনী, আর চিহ্নিত করতে হবে নোয়াখালী কাণ্ডের মদতদাতা এই জাতির অসৎ পিতাকে। আর তার জন্য স্মরণ করতে হবে ওই দুই শহীদকে।”

শঙ্কর মণ্ডল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে এক ভয়ঙ্কর অবস্থার সামনে দাঁড়িয়ে। এখানে সংবিধান, আইনের শাসন এখন কল্পনাও করা যাচ্ছে না। কেবল একমাত্র ভরসা আদালত, আর এই আদালতই বারবার এই রাজ্যের সরকারের গালে ঠাস ঠাস করে চড় মারছে। আর সেই চড় হজম করে অজিত মাইতির মত গণতন্ত্রের কলঙ্কময় অধ্যায়ের প্রতীক বিধায়করা পুলিশের কামড়ে দেওয়াকে সমর্থন করে চলেছে। পুলিশ মিথ্যা অভিযোগ করে জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করেছে। আদালত তাকে শুধু খারিজ করেছেন তাই নয়, তার রায়ের মাধ্যমে এই রাজ্যের প্রশাসনের মোটিভ যে সম্পুর্ণ বেআইনি ও উদ্দেশ্যপ্রনদিত বা কলঙ্কজনিত করেছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এমনিতেই হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের নম্বর প্রকাশের ক্ষেত্রেও যে অসম্পূর্ণ তালিকা পেশ করলেন আর এক অনুপ্রাণিত ডিগ্রিধারী মুর্খ গৌতম পাল বাংলার শিক্ষা জগতের লজ্জা। আর মাননীয় কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যত বলবেন ততই আসামী নেতারা বিপদে পরবেন তা আবার একবার প্রমাণ হল।

এর আগে পার্থ চ্যাটার্জির অপরাধ তার একার নয়, সেটা আগে সমস্ত মন্ত্রিসভার দ্বায়িত্ব বলেই মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদবাবু, যদিও পরবর্তীকালে পার্থর দায় নেওয়ার জন্য তাকে দেখা যায়নি। ঠিক তেমনি আজ বাঘ বলে সন্মানিত করে কেষ্টকে বিপদে ফেললেন সেটাই প্রমাণ হল।

যাই হোক আজ এই বাংলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন থেকে শুরু করে মূখ্যমন্ত্রীর গ্যালারি শো করা প্রশাসনিক বৈঠক সবটাই বাংলাকে হীরক রাজার দেশে পরিণত করেছে। শুধুমাত্র এখানেই নয়, এই বাংলায় বর্তমানে এক নতুন কেলেঙ্কারির আবির্ভাব হয়েছে, ব্যাঙের ছাতার মত বাজারে বাজারে আলু পেঁয়াজের মত লটারির দোকান গড়ে উঠেছে, আর সেই দোকান থেকে কেবল কেষ্ট বা কেষ্টর মেয়ের মত লোকেরাই কোটি কোটি টাকার লটারি পেয়ে আর একটা নতুন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছে, সেটাও ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে।

আর সরকারী টাকা নয়ছয় করে দুয়ারে সরকারের নাম করে ভোট কেনার পরিকল্পনাও এখন এই রাজ্যেকে উপহাসের বিষয়ে পরিণত করেছে। আর বিভিন্ন প্রকল্পের ফর্ম যে এখন মুদিখানার দোকানে বিক্রি হচ্ছে তা তো টেলিভিশন ক্যামেরাতেই দেখতে পেলাম, তাই সবদিক থেকে বিচার করেই বলতে বাধ্য হচ্ছি, এখানে নৈতিকতার ও সংবেদনশীলতা রক্ষা করাই একমাত্র চ্যালেঞ্জ। আর এসবের মধ্যে যখন মানুষের ফোকাস সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে, তখনই গোপনে চলেছে জেহাদিদের প্রবল তৎপড়তা।“

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *