আমাদের ভারত, ১৯ সেপ্টেম্বর:
ভারতীয় সংস্কৃতির ফের জয়জয়কার বিদেশের মাটিতে। গীতা সহস্রা গালা ইভেন্টে ৭০০ জন প্রশিক্ষিত সাবলীল পাঠকের সাথে ১৫০০ জনের বেশি পড়ুয়া ভাগবত গীতার শ্লোক পাঠ করেছেন। আর সেটি গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নথিভুক্ত হলো।
গত ১৩ আগস্ট টেক্সাসের ডালাসে অবধূত দত্ত পীঠম দ্বারা আয়োজিত ইভেন্টে পড়ুয়ারা এই বিরল কৃতিত্বের প্রদর্শন করেছিল। এবার সেই ঘটনা গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে। জানাগেছে, ওই প্রতিযোগিতার জন্য এক বছর ধরে অনুশীলন করেছেন এই পড়ুয়ারা। অ্যালেন ইভেন্ট সেন্টারে গণপতি সচ্চিদানন্দ স্বামীর উপস্থিতিতে সমগ্র অনুষ্ঠানটি হয়েছিল।
ভগবত গীতার শ্লোক পাঠের পর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একজন প্রতিনিধি স্বামীজির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সবচেয়ে বড় একযোগে হিন্দু পাঠ আবৃত্তির বিষয়টির বিশ্ব রেকর্ড তৈরি হবার সম্ভাবনার রয়েছে। তার পরেই সেই ঘটনা গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে।
জানাগেছে, ফ্রিস্কো শহরের মেয়র গত ১৩ আগস্ট ২০২২ দিনটিকে গীতা সহস্রা গালা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। সেই দিনই টেক্সাসের ডালাসে অবধূত দত্ত পীঠম দ্বারা আয়োজিত ইভেন্টে পড়ুয়ারা এই বিরল কৃতিত্বের প্রদর্শন করেছিল। গিনেস বুকে জায়গা পাওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডালাসের ওই ইভেন্টের সংগঠক অবদূত দত্ত পীঠমের উদ্দেশ্যে প্রশংসামূলক একটি চিঠি লিখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী চিঠিতে ঐতিহাসিক সহস্রগালা ভগবদ্গীতা পাঠ অনুষ্ঠানের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন।
গণপতি সচ্চিদানন্দ স্বামীজী ফ্রেস্কোতে কার্যসিদ্ধি হনুমান মন্দিরৈর প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া তিনি গীতা মহাযজ্ঞ কর্মসূচির প্রতিষ্ঠা করেছেন যার অর্থ গীতা দ্য গ্রেট অফারিং। এর উদ্দেশ্য সঠিক ভাবে সংস্কৃত ভাষায় গীতা পাঠ শেখানো।