আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ জানুয়ারি:
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি ব্লকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন একগুচ্ছ নেতা-কর্মী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির উপপ্রধান এবং মণ্ডল কমিটির সম্পাদক। কিছুদিন আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সোমা দণ্ডপাটও ফিরে এসেছেন। দেরিতে পাওয়া খবরে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় কেশিয়াড়ি ব্লকের বাঘাস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে তারা তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন।
দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, “বিজেপিকে মানুষ আর পছন্দ করছেন না। তাই তাঁদের নেতারা আমাদের দলে আসছেন। এভাবে সবাই বিজেপি ছেড়ে তৃণণূলে আসবে।”
অজিত মাইতির দাবি, বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসেছেন বিজেপির বাঘাস্তি মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক গয়াপ্রসাদ পালই, বাঘাস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার সিংহ, পঞ্চায়েত সদস্যা সীতা প্রামাণিক, চন্দনা রাণা, পাখি রাউৎ। এছাড়াও স্থানীয় কিছু নেতৃত্ব মিলিয়ে প্রায় একশ জন বিজেপি নেতা-কর্মী তৃণমূলে এসেছেন। তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন অজিত মাইতি।
বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শাসক দলের সংগঠনে ধস নেমেছিল কেশিয়াড়িতে। লোকসভাতেও খুব খারাপ ফল হয়েছিল তৃণমূলের। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী মানস ভুঁইঞা বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের কাছে হেরে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী কেশিয়াড়ি গিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করেন। মানুষকে তৃণমূলের দিকে আসতে অনুরোধ করেন। এলাকার সংগঠন মজবুত করতে দায়িত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারীকে। তারপর থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে।
বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস বলেন, যারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। বিভিন্ন কারণে তাদের দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিজেপির কারো দল ছাড়ার খবর তার কাছে নেই।