সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৩ মে: মঙ্গলবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফুড ইন্সপেক্টর, হাবড়া এক নম্বর ব্লকের বিডিও, হাবড়া থানার আইসি অভিযান চালিয়ে হাবড়ার জয়গাছি রথতলা এলাকার একটি গোডাউন থেকে উদ্ধার করে ১৩৯ বস্তা রেশন সামগ্রী। গ্রেফতার দুই। ধৃতরা হলেন অনুপ দে ওরফে কানু দে ও অরূপ বোস। বাড়ি হাবড়া জয়গাছি রথতলা এলাকায়।
পুলিশ এবং প্রশাসন সূত্রের খবর, এদিন খাদ্য দফতরের আধিকারিক ও পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাবড়ার জয়গাছি এলাকায় গোডাউনের তালা খুলে ভেতরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ। সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো রয়েছে খাদ্য বিভাগের সরকারি সিল লাগানো রেশন সামগ্রী। ওই এলাকার বাসিন্দা অনুপ দে মুদি দোকানির একটি গোডাউনে স্থানীয় এক চাল ব্যবসায়ী অরূপ বোসকে ভাড়া দিয়েছিলেন। সেই গোডাউন থেকেই অবৈধভাবে মজুত করে রাখা ৫২ বস্তা চাল, ৩৯ বস্তা আটা ও ৪৮ বস্তা গম উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি রাতেই গোডাউনের মালিক ও ব্যবসায়ীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সিল করে দেওয়া হয় গোডাউন। গোডাউন মালিক অনুপ দে পেশায় মুদি ব্যবসায়ী হলেও তিনি এবং অরূপ বোস দুজনেই যৌথভাবে এই ব্যবসা করতেন বলে জানা গিয়েছে। তবে গোডাউনে মজুত করা রেশন সামগ্রী কিভাবে এবং কোথা থেকে তাদের কাছে আসতো সেই বিষয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।বুধবার দুই অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
যদিও ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূলের ইন্ধন রয়েছে ও তৃণমূল নেতৃত্বরা জড়িত না থাকলে কোনভাবেই রেশনের মাল এভাবে মজুত করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন হাবড়ার বিজেপি নেতা বিপ্লব হালদার।
বিরোধীদের এধরনের দাবিকে কটাক্ষ করে হাবড়ার তৃণমূল নেতা নিলিমেশ দাস জানান, পুলিশ প্রশাসন যে কাজ করছে গ্রেফতারের ঘটনা তারই প্রমাণ। কিভাবে এই সামগ্রী মজুদ করা হল তার তদন্ত চলছে। এটা নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করছে। রাজনীতি করার অনেক সময় রয়েছে এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়।