স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ১৩ ডিসেম্বর: আফগানিস্তান, ইরাকের চেয়ে ভালো অবস্থা নয়, কাশ্মীরের চেয়েও ভালো অবস্থনয় এই পশ্চিমবঙ্গের। চোখ রাঙিয়ে রাজত্ব করা চলবে না, এরাজ্যে বিজেপির ১৩০ জন কার্যকর্তা খুন হয়েছেন আরও ১০০ জন প্রাণ দিতে হয় দেবেন তাও বাংলায় এবার পরিবর্তন হবে।” রবিবার রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটিতে “চায়ে পে চর্চা” অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমন মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রবিবারের সকালে চা চক্রে দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু এবং বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী।
রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় করনদিঘীতে এক জনসভা রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সকালে তিনি রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটি এলাকায় রাস্তার ধারে চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন। চায়ে পে চর্চায় দিলীপবাবু সাধারন মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, শ্রীরামকৃষ্ণ, বিদ্যাসাগর রামমোহনের ‘গর্বের বাংলা’ বলার আর মুখ নেই, তার একমাত্র কারন তৃণমূল কংগ্রেস দল ও তার সরকারের অপশাসন।
বিজেপির নেতৃত্বে বাংলায় পরিবর্তন আসবেই। আমরা মানুষের কাছে সকাল থেকে রাত–রাস্তায় নেমে এভাবেই পৌঁছে যাচ্ছি। প্রতিদিন হাজারে হাজারে মানুষ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। শুধু সাধারন মানুষ নয় তৃণমূল, সিপিএম কংগ্রেস থেকেও বহু নেতা কর্মী যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। এরাজ্যে কোথাও গণতন্ত্র নেই– না বাইরে না তৃণমূল দলে।
তৃণমূল দলে গণতন্ত্র নেই বলে রোজ তাদের দলেরই নেতা মন্ত্রীরা বিদ্রোহ করছেন। দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন তৃণমূলে একটাই পোস্ট আর সব ল্যাম্পপোস্ট। কেউ আর ল্যাম্পপোস্ট হয়ে থাকতে চাইছে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আরও বলেন তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির ডেথ সার্টিফিকেট লেখা হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে ক্ষমতায় থাকাকালীনই তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক, সাংসদরা বিজেপিতে যোগদান করছেন বলে জানান দিলীপ ঘোষ।