আমাদের ভারত, ১৬ আগস্ট: শুধু ধর্ষণ করে নৃশংসতার প্রমাণ রেখে ক্ষান্ত হয়নি ধর্ষক। ধর্ষণের পর উপড়ে নেয়া হয়েছে ধর্ষিতার চোখ, কেটে দেওয়া হয়েছে জিভ। হ্যাঁ এই চরম নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকলো আবারও উত্তর প্রদেশ। বছর ১৩-র এক কিশোরীকে আখের ক্ষেতে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে খবর। ঘটনার অভিযোগ করেছে ওই কিশোরীর বাবা। পুলিশ ধর্ষিতার গ্রামেরই দুজনকে গ্রেফতার করেছে এই ঘটনায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলায় শুক্রবার রাতের লখনৌ থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরের নেপাল সীমান্তে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। যে দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাদের মধ্যে একজনের আখের ক্ষেত থেকেই ধর্ষিতার দেহ উদ্ধার হয়েছে। মেয়েটির বাবার অভিযোগ ধর্ষণের পর গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে। তাছাড়াও উপড়ে নেওয়া হয়েছে চোখ, কেটে দেওয়া হয়েছে জিভ।
খেরি জেলার পুলিশ অধিকর্তা জানিয়েছেন, পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। দুজন অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় মেয়েটি। তার পরিবার অনেক জায়গায় খুঁজলেও অবশেষে শনিবার আখের ক্ষেতে তার দেহ উদ্ধার হয়। ওড়না গলায় পেঁচিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ।
ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। প্রশ্ন উঠেছে মেয়েদের সুরক্ষা নিয়েও। এর আগে গত সপ্তাহেই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলায় একটি ছয় বছরের শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় অভিযুক্তকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ৬ বছরের শিশুটি এখন হাসপাতালে ভর্তি। তার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। সে এখনো সংকটজনক। তার মধ্যে আবারও এক কিশোরীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সামনে এলো।