আমাদের ভারত, ২৩ ডিসেম্বর: ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মুর্শিদাবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সেখানে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল হরগোবিন্দ দাস ও তার ছেলে চন্দন দাসকে। সেই খুনের মামলায় ১৩ জনের যাব্বজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল জঙ্গিপুর আদালত। বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায় এই নির্দেশের সঙ্গে নিহত পিতা- পুত্রের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা। ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
চলতি বছর ১২ এপ্রিল এই ঘটনাটি ঘটে। বাবা- ছেলেকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ডাকাতি ও লুটপাটের জন্য গণপিটুনিতে মৃত্যুর একাধিক কেস রয়েছে ভারতে। তার মধ্যে এটি বিরলতম। আমরা আমাদের বক্তব্যকে বিভিন্ন জাজমেন্ট দিয়ে আদালতে প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা অখুশি, এমনটা নয়। আমাদের কাছে দুটো অপশন খোলা ছিল, একটা যাবজ্জীবন, অন্যটা মৃত্যুদন্ড। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ডেথ সেনটেন্স দিতে বারণ করেছে। সেই পরামর্শ সব সময় বিচারকদের মাথায় থাকে।
আইনজীবীর কথায়, যারা দোষী, তারা প্রত্যেকেরই বয়স কম। বাড়িতে চার-পাঁচ জন রয়েছে। বাচ্চা রয়েছে। এই বিষয়গুলি হয়তো কন্সিডারেশন হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। কিন্তু ভিক্টিম ও এই ঘটনার প্রভাব সমাজে কী হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে আদালতে বোঝানো হয়েছে। তারপরেই এই রায় মিলেছে।
চলতি বছরে এপ্রিল মাসে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদ গ্রামে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল হরগোবিন্দ দাস ও তার ছেলেকে। ঘটনার নৃশংসতায় সারা বাংলা কেঁপে উঠেছিল। বঙ্গ রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ৯৮৩ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে সিট। এরপর জঙ্গিপুর আদালত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো।

