রাজেন রায়, কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর: লকডাউনের বাজারে আমের কম ফলনের মত মাছের রাজা ইলিশেও রসনাতৃপ্তি হয়নি বাঙালির। এদিকে পুজোর আগে ভারতে ১,৪৫০ টন ইলিশ রফতানিতে সবুজ সংকেত দিয়েছিল বাংলাদেশ। এ কথা জানিয়েছিল খোদ বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক। সূত্রের খবর সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দু’টি ট্রাকে ১২ টন ইলিশ ইতিমধ্যে ঢুকেছে এ দেশে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজ্যের বাজারে মিলবে বাংলাদেশের ইলিশ।
ফলে এই বর্ষার মরশুমে আর মুখ গোমড়া করার অবকাশ রইল না ভোজনরসিক বাঙালির। পুজোর আগেই গৃহস্থের রান্নাঘর ম ম করবে পদ্মার ইলিশের মন মাতানো সুগন্ধে। পশ্চিমবঙ্গে পদ্মার ইলিশ রফতানি করার ওপর থেকে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ছাড়পত্র পেতেই সোমবার দুপুরে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে এ রাজ্যে ঢুকেছে ১২ টন বাংলাদেশের ইলিশ।
জানা গিয়েছে, অক্টোবর পর্যন্ত দফায় দফায় মোট ১,৪৫০ টন রূপালি শস্য আসছে ওপার বাংলা থেকে।
২০১১-র পর থেকে বাংলাদেশ থেকে এত বিপুল পরিমাণ ইলিশ আর কখনও পশ্চিমবঙ্গে আসেনি। ২০১২-র জুলাই মাসে ভারতে ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে শেখ হাসিনা সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞাই এতদিন বলবৎ ছিল। যে কয়েকটি বাংলাদেশি সংস্থা ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি পেয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল সেভেন স্টার ফিশিং প্রসেসিং লিমিটেড। সংস্থার ডিরেক্টর কাজি আবদুল মান্নান জানান,‘বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী মোট ৯টি কোম্পানিকে পশ্চিমবঙ্গে ১৪৫০ টন ইলিশ রফতানি করার অনুমতি দিয়েছেন। ১০ অক্টোবরের মধ্যে পুরো রফতানির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফেলতে হবে। কারণ ১২ অক্টোবর থেকে আবার পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়ে যাবে।’