ছবি: ওপরে, বাঁ দিক থেকে অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিউটি হালদার, শিখা পূজারী।
অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ২০ ডিসেম্বর: ফল প্রকাশের আগেই জিতে গিয়েছেন কেউ। কেউ বা আবার হেরে বসে আছেন। হর্ষ-বিষাদের শিকার তিন কন্যা।
জেতার ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যাদবপুর বিধানসভার ১০৯ ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যয়। এই প্রতিবেদককে সোমবার বলেন, “মানুষের কল্যাণে গত পাঁচ বছরে কাজ করছি। কাজ ছাড়াও অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে মিশেছি। করোনা বা আমফান, দৈনন্দিন সব সময়ে পাশে ছিলাম। তাই নির্বাচন জয়ের বিষরে আমি নিশ্চিত। তবে উৎকন্ঠা একটা তো আছই। সেটা হল ফলাফলে প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান।“
অনন্যার কথায়, “আমি এই ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিবিদ, প্রশাসনিক অভিতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সাহায্যে, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সহ নান বিশেষজ্ঞের সাহায্য একট ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে এগিয়েছি। আমার এই দৃষ্টিভঙ্গী ক’জন মানুষ সমর্থন করছেন, সেটা জানার আগ্রহ রয়েছে। যদি মানুষ সমর্থন করেন, তাহলে এই পথেই এগোতে হবে। না হলে পরিমার্জন করতে হবে। এটাই উৎকন্ঠার কারণ।“
ব্যবধান কী হতে পারে বলে মনে করছেন? অনন্যার জবাব, “ব্যবধান যথেষ্ট হওয়া উচিত। করণ বিরেধীরা আগামী দিনে আমার ওয়ার্ডের জন্য কি কি কাজ করতে চান, তা বলতে পারেননি। মনুষের পছন্দ পেতে গেলে তুলনামূলক একটা বিশ্লেষণ করতে হবে তো! সেটাই নেই। আমার কী কী খামতি সেটাও তুলে ধরতে পারেনি। তাহলে মানুষ ওদের ভোট দেবেন কেন?“
সোমবার কীরকম কাটল? জবাবে বলেন, “দিনভর স্বাভাবিক রুটিন। গণনার জন্য প্রস্তুতি।“ জানালেন, “মঙ্গলবার সকালেই যাবেন গণনাকেন্দ্র গীতাঞ্জলী স্টেডিয়াম। বরো ১২-র সব ওয়ার্ডের গণনা এখানেই। আমাদের কমী সমর্থকরা গণনাকেন্দ্রে যাবেন।“
অন্যদিকে, ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনন্যার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের শিখা পূজারী। পুনর্নির্বাচন চেয়ে রবিবারই চিঠি দিয়েছেন জেলাশাসকের কাছে। লিখেছেন, “শুরু থেকে আমি ১০৯ নং ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন দলের গুন্ডাদের দ্বারা বুথ দখল ও কারচুপির কথা জানিয়ে এসেছি। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। ১০০% পোলিং এজেন্টকে ওয়ার্ডের সব ভোটকেন্দ্র থেকে জোর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা এই ওয়ার্ডের সব বুথে পুনঃভোটের দাবি করছি।“ নির্বাচন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ১২ নম্বর বরোর পুর রিটার্নিং অফিসারকেও পৃথক চিঠিতে এই অভিযোগ করেছেন।
যাদবপুর পুরসভার অধীন ১০৯ ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী আইনজীবী বিউটি রায় হালদার সোমবার এই প্রতিবেদককে বললেন, “আমার ভোটের ফলাফল নিয়ে কোনও উৎকন্ঠা হচ্ছে না। এর কারণও নেই। ভোটের নামে প্রহসন হল।“
তার মানে হার নিশ্চিত?
“অবাধে ছাপ্পা ভোট দিতে পারলে যা হতে পারে, তাই হবে”— জানালেন বিউটি।