আমাদের ভারত,২১ ডিসেম্বর:নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করার প্রতিবাদে দেশের একাধিক রাজ্যে চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন। এমনকি বহু শিক্ষাবিদ বুদ্ধিজীবিরাও এই আইনের বিরোধিতায় মুখর। এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে দাঁড়ালেন দেশজুড়ে মোট ১১০০ জন গবেষক, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষক। একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দীর্ঘদিনের দাবি। যেসব সংখ্যালঘু শরণার্থী তথা উদ্বাস্তুরা পাকিস্তান আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছেন তাদের কথা বিবেচনা করেই এই সংশোধনী। সিএএর পক্ষে থাকা বুদ্ধিজীবীদের এই বিবৃতিতে ১৯৫০ সালের নেহেরু লিয়াকত চুক্তির বিফল হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে সেই সময় কংগ্রেস, সিপিএম, সহ দেশের একাধিক দল রাজনৈতিক নেতারা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে সরব হয়েছিলেন উল্লেখ করা হয়েছে। এই সংখ্যালঘুদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর।
এই বিবৃতিতে আইন সংশোধনের জন্য সংসদ ও কেন্দ্রীয় সরকারকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। কারণ কেন্দ্র সরকার বিদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই আইন সংশোধনের ফলে ভারতীয় সভ্যতার নীতিগত উন্নয়ন ঘটেছে। একই সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, এই নতুন আইন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য সঠিক। এই আইনের ফলে ভারতীয় সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার সঠিক দিক সামনে এসেছে। এর দ্বারা কোন নাগরিককে তার ধর্ম জাতি দিয়ে দেখা হয়নি।
নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে অক্ষরে-অক্ষরে মানা হয়েছে। একই সঙ্গে এই বিবৃতিতে দেশজুড়ে চলা হিংসার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের সমস্ত নাগরিকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে তারা যেন কোনভাবেই কোন ভুল পথে না