আমাদের ভারত, ৪ জুলাই: কোনো ধরনের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না, ১০০% বিশুদ্ধ ফলের রস। অর্থাৎ এর মধ্যে কোনো ভেজাল নেই। বাজার চলতি একাধিক ফ্রুট জুস সংস্থা এমনটাই দাবি করে থাকে। বাচ্চা থেকে বুড়ো এই ধরনের প্যাকেট জাত ফ্রুট জুস সকলের খুবই পছন্দের। যদিও কেন্দ্রীয় খাদ্য গুণমান যাচাই বিভাগ ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া ওই ফলের রস যাচাই করে একবারে অন্য তথ্য দিয়েছে। এফএসএসএআই- এর সম্প্রতি পরীক্ষায় দেখা গেছে বাজার চলতি অধিকাংশ ফ্রুট জুসে বিপুল পরিমাণে রাসায়নিক রয়েছে। এই অবস্থায় ভেজাল ফ্রুট জুস গুলির বয়ান বদলানোর নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর।
প্যাকেটজাত ফলের রস সংস্থাগুলিকে এফএসএসআই পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছে, এবার থেকে প্যাকেটের গায়ে ১০০ শতাংশ ফলের রস লেখা যাবে না। বরং ঐ ফ্রুট জুসের মধ্যে ১০০% ফলের রস নেই তা জানাতে হবে গ্রাহকদের। এছাড়া ওই পানীয়তে কী কী উপাদান রয়েছে তাও বিশদে জানাতে হবে কোম্পানিকে।
কী কী মেশানো হয়ে থাকে ফলের রসে? প্যাকেটজাত জুসে থাকে হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর চেয়ে বড় ভেজাল হতে পারে না। বাজার চলতি অধিকাংশ আম, কমলা লেবু বা লিচুর রসে মেশানো হয় হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ। পাশাপাশি খাবারের স্বাদ দীর্ঘদিন একই রকম রাখার জন্য এসিডিটি রেগুলেটর মেশানো হয়।
সত্যিটা হল রাসায়নিক বিহীন তাজা ফলের রস বেশিদিন ভালো থাকে না। প্যাকেটজাত ফলের রস কখনোই টক হয় না কেন? কারণ অতিরিক্ত চিনি মেশানো হয়। এছাড়া ফ্লেভার দেওয়া হয়। এর ফলে ফলটি পচা হলেও বোঝার উপায় থাকে না। এই কারণগুলোর জন্য ১০০% ফলের রস লেখা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে
এফএসএসএআই।