রাজেন রায়, কলকাতা, ৯ সেপ্টেম্বর: একুশের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজনৈতিক হাওয়া মাপতে শুরু করেছেন দু’দলের সৈনিকরাই। তাই বিভিন্ন বাহানায় শাসক দল তৃণমূল দলীয় আলোচনা হোক বা ক্যাবিনেট বৈঠক, ধীরে ধীরে বাড়ছে গরহাজিরার সংখ্যা। বুধবার ক্যাবিনেট বৈঠকে মন্ত্রীদের গরহাজিরার সংখ্যা যেন ছিল রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। ৪৪ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ১০ জন, যার মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু, রাজীব, জ্যোতিপ্রিয় সহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, অনুপস্থিতদের মধ্যে একমাত্র জ্যোতিপ্রিয় বাজে বাদবাকিদের অনেকেই দলীয় কার্যকলাপে এবং তাদের গুরুত্ব কমা নিয়ে সরাসরি না বললেও ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। যদিও সম্পর্কের অবনতি কথা প্রকাশ্যে কেউই স্বীকার করেননি। কারণ বিরোধী দলের রাজনৈতিক জমি না থাকলে চলতি হাওয়ায় গা ভাসিয়ে এই ভোট বৈতরণী পার হতে হবে সকলকে।
গত ২৩ মার্চ শেষবার সম্পূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল। এরপর এদিন আবার সব মন্ত্রীকে বৈঠকে ডাকা হয়। তার মধ্যে এদিনের বৈঠকে ছিলেন না রাজ্যের শিল্প ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জী সহ মোট ১০জন প্রথম সারির মন্ত্রী।
এদের মধ্যে কয়েকজন নবান্নকে তাঁদের না আসতে পারার কথাও ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। যাদের আজ অনুপস্থিত থাকার কথা, তাঁরা হলেন অমিত মিত্র, শুভেন্দু অধিকারী, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সৌমেন মহাপাত্র, স্বপন দেবনাথ, সাধন পান্ডে, রেজ্জাক মোল্লা, ডাক্তার নির্মল মাঝি, আশীষ বন্দোপাধ্যায় ও রাজীব ব্যানার্জী। শুভেন্দু অধিকারী এই প্রথম জানিয়ে দিলেন যে তাঁদের বাড়িতে দুজনের করানো হয়েছে। তাই তিনি এদের বৈঠকে আসছেন না। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে এখন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
অন্যদিকে সৌমেন মহাপাত্র ও স্বপন দেবনাথ কোভিডে আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠলেও কলকাতায় তাঁরা আসতে পারেননি। নির্মলবাবুও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রাজীববাবুর দফতরের বৈঠক থাকায় তিনি এখন রয়েছেন মেদিনীপুরে। তাই তাঁর পক্ষেও বৈঠকে যোগদান সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু বাকিদের অনুপস্থিতি নিয়ে কোনও কারণ জানা যায়নি।