স্নেহাশিস মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ২৮ জুলাই:
এক ঘন্টার ভাঙ্গন, আর তাতেই তলিয়ে গেল প্রায় ১০ বিঘা চাষের জমি। ক্ষতি লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল। জমি হারিয়ে সর্বস্বান্ত চাষিরা। নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার ঘটনা।

সূত্রের খবর, নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরসরাগর এলাকায় প্রায় ১০ বিঘা চাষের জমি ১ ঘন্টার ভাঙ্গনে ভেঙ্গে যায়। গঙ্গা ভাঙ্গন এবছর প্রথম নয়, প্রতিবছরই বর্ষা শুরু হতেই গঙ্গা ভাঙ্গনের মাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। শান্তিপুর থানা এলাকার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, নৃশিংহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, বেলঘড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অতিমাত্রায় গঙ্গা ভাঙ্গন লক্ষ করা যায়। প্রতিবছর বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গা বক্ষে নিমেষে তলিয়ে যায়। শুধু জমি নয় শতাধিক বাড়ি ঘর প্রত্যেক বছর গঙ্গার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। প্রশাসনের তরফ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। বিভিন্ন দলের জনপ্রতিনিধিরাও আসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে, আশ্বাস দিয়ে যান কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। অভিযোগ, এদিনের ভাঙ্গনে ১০ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিল স্থানীয় চাষিরা। এই ফসল একমাত্র সম্বল ছিল তাদের। একদিকে করোনা আবহে লকডাউনের ফলে জীবনে প্রাণে বেঁচে থাকাই দুর্বিষহ হয়েছে। তার ওপর এত বড় ক্ষয়ক্ষতি কিভাবে সামলাবেন তারা বুঝে উঠতে পারছেন না।

এ বিষয়ে এলাকার বর্তমান কাউন্সিলরের স্বামী এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর বৃন্দাবন প্রামাণিক বলেন, বাসিন্দারা যে দাবি তুলেছে তাতে আমি সহমত। কয়েক বছর আগে একটু কাজ হয়েছিল বটে কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গা ভাঙ্গন রোধ করার জন্য কোনও কাজ হয়নি। আমরা এর আগে একাধিকবার সেচ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। চেষ্টা করছি আগামী দিনে যেন গঙ্গা ভাঙ্গন রোধ করার উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

