পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় শম্ভু পন্ডিতকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে আটক আরও ১

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৫ মার্চ: পানিহাটি পৌর সভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী নির্ধারিত এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অমিত পণ্ডিত ওরফে শম্ভু পণ্ডিতকে ঝোঁপ জঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তারপর থেকেই দফায় দফায় ধৃত শম্ভু পণ্ডিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

পুলিশ সূত্রের খবর, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনে ব্যাবহৃত অস্ত্রটি তাকে কে বা কারা দিয়েছিল সেই সম্পর্কে তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হতে। আর সেই সূত্র ধরে সোমবার সারারাত তল্লাশি চালিয়ে রারুইপুর থেকে একজনকে আটক করে। অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় সঞ্জীব পণ্ডিত ওরফে বাপি পণ্ডিতকে আটক করে পুলিশ। তাকে খড়দা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল থেকেই তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অবশেষে দীর্ঘ জেরার পর বাপি পণ্ডিতকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

এদিন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনাররেটের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, “পানিহাটি পৌরসভায় আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনের ঘটনায় সঞ্জীব পন্ডিত ওরফে বাপি পন্ডিতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। অবশেষে তাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তবে এখনো তদন্ত চলছে তাই এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। এদিন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে খুনের কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, এখনো তদন্তে অনেক কিছু তথ্য খুঁজে বার করা বাকি আছে তাই বেশি কিছুই বলা যাবে না। তবে এই সঞ্জীব পণ্ডিত সরাসরি যুক্ত আছে এই খুনে এমনটা উঠে আসছে তদন্তে।”

অপর দিকে অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় পানিহাটি পৌর এলাকায় এখনো চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা শোকস্তব্ধ সেই সঙ্গে আতঙ্কিত। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেসের এই কাউন্সিলরকে প্রকাশ্যে ভর সন্ধে বেলায় আগরপরা নর্থ স্টেশন রোডের ওপর খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় এলাকাবাসীরা ধাওয়া করে ওই দুষ্কৃতীদের এক জনকে স্থানীয় একটি জঙ্গল থেকে খুঁজে বার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। সেই সঙ্গে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র, একটি ফোন ও একটু ট্রেনের টিকিট উদ্ধার হয় ওই জঙ্গল থেকে। এই ঘটনায় পুলিশ তৎপরতার সাথে তদন্ত শুরু করলেও বার বার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীরা। সেই সঙ্গে তারা নিরাপত্তাহীনতার কথাও বলছেন বার বার।

এলাকাবাসীদের বক্তব্য, “একজন ক্ষমতায় আসা কাউন্সিলর যদি এই ভাবে প্রকাশ্যে খুন হয়ে যান তাহলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়। আমরা চাই যারা এই খুনের পেছনে আছেন তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *