আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৮ সেপ্টেম্বর: পাঁশকুড়া টাইম বোমা কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে একজনকে। শেখ হাসানুর আলি নামের ওই ব্যক্তি পাশের গ্রাম রামগড়ের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। আজ জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে এক প্রেস মিট করে এই কথাগুলো জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সুনীল কুমার যাদব।
বিস্ফোরকটি নিষ্ক্রীয় করার পরে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে যে মোবাইল ফোন থেকে হুমকি দিয়েছিল সেই মোবাইল ফোন এবং তার সিম দুটোই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, যে ধৃতকে আজ আদালতে তোলা হবে এবং পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে তদন্তের কারণে। যে বিস্ফোরকটি ব্যবহার করা হয়েছিল সেটা একটি বিশেষ ধরনের আইডি এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে ভয় দেখানোর জন্যেই অভিযুক্ত ইউটিউব দেখে এটি বানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল পাঁশকুড়ার সেরহাটি বাজারে এক ব্যবসায়ীর সিমেন্ট ও রডের গোডাউনে দুটি টাইম বোমার মতো দেখতে বিস্ফোরক রাখে অভিযুক্ত। তারপর ওই ব্যবসায়ীকে ফোন করে গোডাউন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়া হয়। বোমাটি দেখতে পেয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এবং পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে বোমাটি প্রাথমিক পরীক্ষার পরে এলাকা ফাঁকা করে দেয়। পরে সিআইডি বম্ব স্কোয়াডের লোকেরা এসে এই বিস্ফোরকটিকে নিষ্ক্রীয় করে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার জানান, অভিযুক্ত সেখ সেরাজুল আলী হায়দ্রাবাদে মার্বেলের কাজ করত। লকডাউনের সময় মহরমের আগে পাঁশকুড়ার ঘোষপুর অঞ্চলের রামগড়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে আসে। তারপর বেশ কিছুদিন ধরে ওই রড এবং সিমেন্ট ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মালপত্র কিনেছে। এরপরে তার কাছে ৩০ হাজার টাকার মালপত্র ধারে নেয়। আবার মালপত্র কিনতে এলে আগের টাকা শোধ না করলে আবার মালপত্র দেবে না বলে জানান ব্যবসায়ী। এই নিয়ে ব্যবসায়ীর সঙ্গে বচসা হয়। গতকালও আবার দোকানে এসে এক ফাঁকে এবং এটি রেখে চলে যায় বলে জেরায় জানিয়েছে। এরপর সবং থেকে একটি গ্রাম্য নতুন মোবাইল ও সিম কার্ড ব্যবহার করে ব্যবসায়ীকে ভয় দেখায়।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, এই ফোনের সূত্র ধরেই ধৃতকে এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের সঙ্গে আরও কোনও ব্যক্তি জড়িত আছে কি না বা এর সঙ্গে অন্য কোনও যোগ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিছক ভয় দেখানো না কি এই ঘটনার সঙ্গে বড় কোনও জঙ্গি নাশকতার যোগ আছে তা জানার জন্য এনআইএ তদন্ত দাবি করেছে বিরোধীরা।