নীল বনিক, আমাদের ভারত, ৯ এপ্রিল: কাশীপুর উদ্যানবাটিতে শ্রীরামকৃষ্ণ কল্পতরু হয়েছিলেন। সেদিন ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পুরণ করেছিলেন তিনি। করোনার কারণে দুর্গত মানুষদের সাহায্য করতে এবার তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্জি চালু করছেন কল্পতরু প্রকল্প। তবে এই নামে প্রকল্প চালু করায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।
দলের যুব সংগঠনের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হতে চলা কল্পতরু প্রকল্পের প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় ফেসবুক লাইভ করে নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের জন্য কল্পতরু প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহায্য পেতে হলে ৮-১১ এপ্রিলের মধ্যে ০৩৩-৪০৮৭-৬২৬২ হেল্পলাইন নম্বরে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করালে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকার বাসিন্দাদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হবে। ১২-২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকার মহেশতলা, বজবজ, ফলতা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর, মেটিয়াবুরুজ ও ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা এলাকায় প্রতিদিন ৪০ হাজার মানুষকে খাবার পৌঁছে দেবে তৃণমূল যুব সভাপতির নিজস্ব টিম। সেই লক্ষ্যেই, ডায়মন্ডহারবার এলাকার বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে এই প্রকল্পের সংবাদ পৌঁছে দিতে জোর প্রচার শুরু করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা।
এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে এক দুস্থ মহিলার হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দিচ্ছেন অভিষেক, এমন একটি প্রতীকি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছেন ডায়মন্ডহারাবের সাংসদের অনুগামী তৃণমূল কর্মীরা। বেশি সংখ্যক মানুষকে এই পরিষেবার আওতায় আনা যায় তারজন্য প্রচার চালাচ্ছেন এই লোকসভার শাসক দলের নেতারা।
এ প্রসঙ্গে মেটিয়াবুরুজের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল খালেক মোল্লা বলেন, “কল্পতরু প্রকল্পের উদ্যোগে গরিব মানুষকে খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করেছেন আমাদের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, হেল্পলাইন নম্বর থেকে পাওয়া ঠিকানা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া। কারণ সাংসদের পক্ষ থেকে আমরা নির্দেশ পেয়েছি, মানুষ খাবার নিতে আসবেন না। আমাদের তাদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে হবে।” এতদিন বাঙালি কল্পতরু উৎসব মানে জানতো কাশিপুর উদ্দ্যানবাটি ও জয়রামবাটির পয়লা জানুয়ারীর উৎসব। ওই বিশেষ দিনে কল্পতরু হয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। এবার অভিষেক ব্যানার্জির জনসেবার নামও কল্পতরু বলে জানতে শুরু করেছে বঙ্গবাসী।